সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৪ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ফুলপুরে পৌর বিএনপির উদ্যোগে মতবিনিময়। কালের খবর রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ে হাতের লেখা প্রতিযোগীতায় ১ম স্হান লালমনিরহাটের শিবরাম। কালের খবর এবার ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক সাদপন্থিদের। কালের খবর সাদপন্থিদের কাকরাইল মসজিদে বৃহৎ জামাতে জুমা আদায়। কালের খবর রায়পুরায় ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্্যালি। কালের খবর রায়পুরায় পৈত্রিক সম্পত্তিতে মাটি ভরাটে চাঁদা দাবি। কালের খবর ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। কালের খবর নতুন বাংলাদেশে সাংবাদিকদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা কত টুকু। কালের খবর দেবিদ্বারে মাদক কারবারী দম্পতির বিরুদ্ধে গ্রামবাসীর মানববন্ধন। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় জোন কমান্ডারস কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন গুইমারা ইউনিয়ন একাদশ। কালের খবর
সলিমগঞ্জে কথিত প্রতারক দালাল চক্রটি আবারও নতুন কৌশলে অন্যের জমি গোপনে বিক্রি করার পায়তারা করছে। কালের খবর

সলিমগঞ্জে কথিত প্রতারক দালাল চক্রটি আবারও নতুন কৌশলে অন্যের জমি গোপনে বিক্রি করার পায়তারা করছে। কালের খবর

কালের খবর ডেস্ক : নবীনগরের সলিমগঞ্জে একটি প্রতারক, ভূমিদস্যু-দালাল চক্র গোপনে বাড়াইল মৌজার ৩৩০ দাগের জমিটি বিক্রয় করার পায়তারা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে জমিটি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। তার পরও দালাল চক্রটি উক্ত জায়গাটি গোপনে বিক্রি করার পরিকল্পনা করছে। এভাবে প্রতারক দালাল চক্রটি জামেলাযুক্ত জায়গা জমি বিক্রি করাসহ মাদক ও চোরাকারবারী করে কাড়ি কাড়ি টাকার মালিক বনে গেছেন বলেও একটি সূত্র থেকে জানা যায়। তবে জমি ক্রয়ে সলিমগঞ্জের কতিথ প্রতারক, ভূমিদস্যু, কালো তালিকাভূক্ত দালাল চক্র থেকে সাবধানে থাকা প্রয়োজন বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন।

জানা যায়, সলিমগঞ্জ বাজারের বাড়াইল মৌজার হাল দাগ ৩৩০ বিএস খতিয়ান ৮১৯ এর ভূমির অংশিদার শান্তি রায়ের অংশ ক্রয়সূত্রে ও কান্তি রায়ের অংশ বায়না সূত্রে মালিক-এম আই ফারুক আহমেদ ও মো : অবিদ মিয়া সরকার। উক্ত ভূমির আরেক অংশিদার খোকন রায়ের সাথে দীর্ঘদিন ধরে ওই জমি নিয়ে মামলা-মোকাদ্দমা চলমান রয়েছে। এঅবস্থায় একটি ভূমিদস্যু দালাল চক্র দলীয় প্রভাব খাটিয়ে অন্যায় ভাবে জমিটি দখলে নিতে চাচ্ছে। বিশ্বত সূত্রে থেকে জানা যায়, স্থানীয় একটি প্রভাবশালী কু-চক্রী মহলের সাথে মোটা অংকের লেন-দেনের মাধ্যমে হাতাত করে জমিতে থাকা দোকান ঘরটি রাতের আধারে লুটতরাজ করে এবং দোকান ঘরটি ভেঙে জমিটি দখল নেয়ার চেষ্টা করে। এঘটনায় জড়িত প্রতারক দালাল ভূমিদস্যু মাদক সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে থানায় চাঁদাবাজি ও লুটতরাজের মামলা করা হয়েছে। এদের খটির জোর কোথায় এগুলো নিয়ে আলোচনা -সমালোচনা চলছে এলাকাবাসীর মূখে মূখে।

এ বিষয়ে জমির মালিক -সাংবাদিক এম আই ফারুক আহমেদ ও মো. অবিদ মিয়া সরকার বলেন, আমরা আইনিভাবে সকল পন্থায় প্রতারক, ভূমিদস্যু-দালাল চক্র সহ জায়গার মামলা চলমান থাকা অবস্থায় যদি কেহ উক্ত জমি ক্রয় করে তার বিরুদ্ধেও চরমভাবে লড়াই বা মোকাবেলা করবো। এতে যেখানে যা প্রয়োজন সেখানে সেই ভাবেই মোকাবেলা করার প্রস্ততি নেয়া হয়েছে। তারা আরো জানান, চাঁদাবাজ প্রতারক দালাল চক্রটি গত কয়েক দিন আগে ব্যবসায়ী অবিদ মিয়ার কাছে দশ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে না পেয়ে রাতের আধারে উক্ত ব্যবসায়ীর গোডাউনের মালামাল লুটতরাজ ও চুরি করে নিয়ে যায়। এসময় দোকান ঘরটি ভেঙে জমিটি দখলের নেয়ারও চেষ্টা করে।

সাংবাদিক এম আই ফারুক আহমেদ ও মো. অবিদ মিয়া আরো বলেন, এই ঘর ভাঙা ও মালামাল লুটতরাজের সাথে যারা জড়িত তাদেরকে কালো তালিকা ভূক্ত করা হয়েছে। তাদের বিষয়ে সমাজ তথা আমাদের বিশেষ নজরদারী রয়েছে। এই চোরা বাহিনী আমাদের এবং সমাজের কাছে সবসময় ঘৃনার পাত্র হয়ে থাকবে। দোকান ঘর ভেঙে লুটতরাজ ও চুরি করে যে যঘন্য অপরাধ করেছে, তাদের সাথে আপোস হবে না আর কনো দিন।

তারা বলেন, এচোরাবাহিনীর স্বন্ত্রাসী ও চুরি-চামচামির মত কার্যকলাপের কারণে এদেরকে চোরা বাহিনী নামেই নামকরন করা হয়েছে। আজ থেকে সামাজের কালো তালিকা ভূক্ত এই চক্রটির বিরুদ্ধে শক্ত হাতে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। নতুবা এপ্রতারক দালাল চক্রটি দিন দিন তাদের অপরাধের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহস পাবে।

অন্য একটি সূত্র জানান, দোকান ঘর ভেঙে গোডাউনের মালামাল চুরি করে প্রতারক ও চোরবাহিনী যে লাভের আশা করে ছিলেন, সেই আশা নাকি এই চোরাবাহিনীর পূর্ণ হয়নি। যা চেয়ে ছিলেন তার চেয়ে ক্ষতিই নাকি বেশী হয়েছে। এটাকেই বলে অতি লোভে তাতি নষ্ট। আরো জানা যায়, এই ভদ্রবেশী রাতের চোরেরা মাদক ও চোরাকারবারীসহ নানা অপরাধের সাথে জড়িত রয়েছে।

এলাকাবাসী জানান, ভদ্রতার মূখোস পড়ে প্রতারক দালালগুলো বিভিন্ন অপরাধসহ রাতের আধারে চুরি-চামচামি করে এখন চোরাবাহিনী নামে এলাকাতে ব্যাপক পরিচিতি পেয়ে, অনেক খ্যাতি অর্জন করেছেন।

তবে হঠ্যাৎ অবৈধ ভাবে টাকা উপার্জন করে আঙুল ফোলে কলাগাছ হওয়া এসব মুখোস ধারী গডফাদারদের মুখোস আস্তে আস্তে উন্মোচন করার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তাদের ইতিহাস ও বিভিন্ন অপরাধ, দূর্নীতির অথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এসব অপরাধীদের সময় মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য এলাকাবাসী জোর দাবী জানিয়েছেন।

এলাকাবাসী আরো বলেন, তাদের সকল অপকর্মের বিস্তারিত উল্লেখ করে দুদকসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বা মন্ত্রনালয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য স্মারকলিপি প্রদান করা হবে।

নিম্নে বর্ণিত জমি,

খরিদ সূত্রে শান্তি রায়ের অংশ ও বায়না সূত্রে কান্তি রায়ের অংশের মালিক-
এম আই ফারুক আহমেদ (সাংবাদিক)
মো : অবিদ মিয়া সরকার, সর্বসাং ধারাভাঙা

মৌজা : – বাড়াইল
জে, এল ন :- ০৪, সাবেক দাগ :- ১৩১, ১৩২, ১৩৩
হাল দাগ :- ৩৩০, বিএস – খতিয়ান :- ৮১৯
নামজারী খতিয়ান :- ২৩৩৭নং এর দখলীয় ভূমির মালিক বটে।

এবং বায়না সূত্রে কান্তি রায়ের অংশ বাড়াইল মৌজার একই দাগ-খতিয়ানের ৩.৫৬ (তিন শতক ছাপান্ন পয়েন্ট) দখলীয় ভূমির মালিকও বটে।

উল্লেখিত ৩৩০নং দাগের বর্ণিত ভূমি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। মামলা চলমান থাকা অবস্থায় জমি ক্রয়-বিক্রয় আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। মামলা চলা অবস্থায় জমি ক্রয় করলে নিশ্চিত ক্ষতিগ্রস্থের সম্মক্ষীণ হতে হবে। তাই কষ্টের উপার্জিত অর্থ দিয়ে জমি কেনার আগে দেখে, শোনে, বুঝে ও যাচাই-বাছাই করে কেনা কাটা করা উচিত।

তাছাড়া সলিমগঞ্জের উক্ত দালাল চক্রটি সলিমগঞ্জ, নবীনগর ও বাঞ্ছরামপুরসহ আন্ডারওয়ার্ল্ডের একটি প্রতারক মাদক সিন্ডিকেটের সদস্য। তারা প্রশাসনকে অর্থের স্বার্থ দিয়ে, এমন হীন কাজ নেই যে তারা করে না। এ সিন্ডিকেট ভদ্রতার মুখোস পড়ে সমাজের সহজ সরল মানুষকে ধুকা দিচ্ছে বলেও সূত্রটি জানান। সলিমগঞ্জের মাদক-চোরাকাবরীর গডফাদার, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যু, প্রতারক-দালাল চক্রটি গোপনে জামেলা যুক্ত ৩৩০ দাগের জমিটি বিক্রয় করে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার সুযোগ খুজছে। উক্ত জমি ক্রয়ে সলিমগঞ্জবাসীকে সাবধানে থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। প্রতারক দালাল চক্রের কাছ থেকে উক্ত জমি ক্রয় করে প্রতারিত বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে এর জন্য কাউকে দায়ী করা যাবেনা। কারণ এই জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আদালতে মামলা চলতেছে। এই জমি ক্রয় করা মানে জেনে শুনে নিজের টাকা আগুন দিয়ে পুড়ে ফেলার মতো অবস্থা হবে।

এমনতাবস্থায় এবিষয়ে শতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করেছেন-এম আই ফারুক আহমেদ ( সাংবাদিক ) ও মো. অবিদ মিয়া সরকার। সলিমগঞ্জ বাজার, নবীনগর, ব্রাক্ষণবাড়িয়া।

উক্ত জমি সংক্রান্ত বিষয়ে বিস্তারিত জানতে মোবাইল করুন :- 01711 37 92 01,- 01727 63 92 47
…………….”জনস্বার্থে প্রকাশ করা হলো”…!………..

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com